আইবিএন রিপোর্ট: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অনুমোদিত ও অননুমোদিত মাদক নিরাময় কেন্দ্রের নামে চলছে টর্চার সেল। এসব কেন্দ্র দালাল বা কমিশনের মাধ্যমে মানসিকভাবে সুস্থ কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের রোগী হিসেবে সরবরাহ করে। অভিযোগ রয়েছে, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সুস্থ মানুষকেও যোগসাজসে অসুস্থ হিসেবে চালিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।
এমন একজন ভুক্তভোগী মো. জাহাঙ্গীর (৩৫), যিনি ঢাকার উত্তরায় বসবাস করেন এবং একটি বেসরকারি চাইনিজ কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরিবারের যোগসাজসে তাকে রাজধানীর একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি ৩১ দিন ধরে টর্চার সেলে আটক ও নির্যাতনের শিকার হন। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব সেহলী পারভীন জানান, তারা জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করেছে।
হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, গত ২৫ জুন ২০২৫ ইং বিকাল ৫ ঘটিকায় উত্তরার রেইনবো নামীয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র থেকে মো. জাহাঙ্গীরকে তাদের একটি টিম উদ্ধার করে। ১৫ দিনে প্রশাসনিক অনুমোদন ও ২৪ ঘন্টা হিউম্যান এইড এর সাংগঠনিক তৎপরতার পর এই মানবিক কাজটি তারা সম্পন্ন করে।
সংস্থাটির দাবী, উত্তরায় পিতার রেখে যাওয়া বাড়ী থেকে একটি চাইনিজ কোম্পানীতে চাকরি করে আসছিল ২ বছর ধরে নিপীড়িত জাহাঙ্গীর। পিতা-মাতার সব সম্পত্তি একা ভোগ করার উদ্দেশ্যে বড় ভাই কামাল জনৈক মাদকাসক্ত কেন্দ্র রেইনবোর দালাল রমজানকে দিয়ে জাহাঙ্গীরকে পাগল সাজিয়ে রেইনবো বাহিনী কর্তৃক জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ৩১ দিন আটকে রাখে।
গোপন সূত্রে অভিযোগ পেয়ে হিউম্যান এইড দায়িত্ব নেয়। পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগিতে রেইনবো’র যোগসাজশ রয়েছে বলে হিউম্যান এইড এর তদন্তে উঠে আসে। রাজধানীর অলিতে গলিতে রেইনবোর মতো এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান দেদারসে ব্যবসা করে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। তাতে প্রশাসনের কিছু যায় আসে না।
হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে তার নিজ বাড়ীতে রেখে আসে এবং জাহাঙ্গীর এর পরবর্তী জীবন যাপন যেনো নিরাপদ হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব সেহলী পারভীন।