ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৫: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল ১৫ মিনিটের উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং গঠনমূলক। এই আলোচনা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে জানান, ফোনালাপে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির প্রতি তাদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতি অনুসারে, আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো উঠে আসে। এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করা, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া, গণতন্ত্রে উত্তরণ, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা। মার্কো রুবিও বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি এবং আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অবদানের জন্য ড. ইউনূসের প্রশংসার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য এবং রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। উভয় নেতা শিগগিরই শুল্ক আলোচনার সফল সমাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি মার্কো রুবিওকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, উল্লেখ করে বলেন, এই সফর বাংলাদেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে।
এই ফোনালাপ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং, এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।