আইবিএন রিপোর্ট: ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে গত ৫ আগস্ট যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে। এই দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালিত হয়। এছাড়া, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ এবং একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ভিয়েতনামে বসবাসরত বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে নিহত শহীদদের স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে ফ্যাসিবাদী অপশাসন থেকে দেশের জনগণ চূড়ান্ত মুক্তি লাভ করে। রাজপথে লড়াই করে, বুকে গুলি নিয়ে হাজার হাজার ছাত্র, নারী, শিশু ও জনতা শহীদ হন। অনেকে আহত হয়ে এখনও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। এই তাজা প্রাণের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সুগম হয়েছে। জাতীয় জীবনে এই দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম।”
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রদূত রহমান জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় একটি বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা পর্বের পর ‘July Beyond Borders’ শীর্ষক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও প্রধান নাসির উদ্দিন।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং গণতন্ত্র ও সাম্যের জন্য তাদের আত্মত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।