রাষ্ট্রীয় খরচে জাপানে গিয়ে নিজের লাইসেন্সের নামে আদম ব্যবসা শুরু করেছেন ড. ইউনুস

সম্প্রতি টোকিও সফরের সময় যে চুক্তিটি আলোচনায় এসেছে, সেটি হয়েছে তাহমিদ মইন নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। অথচ এই তাহমিদ মইন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (JBCCI) থেকে প্রতারণার অভিযোগে বহিষ্কৃত। তার বিরুদ্ধে জাপানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

IBN-News-Logo-Blue
By
IBN News
WE Are love for news
ছবি সংগৃহীত

হাকিকুল ইসলাম খোকন, এডিটর ইন চীফ: বাংলাদেশ থেকে জাপানে এক লাখ কর্মী যাবে এই শিরোনাম শুনে অনেকেই আশায় বুক বাঁধেন। বিদেশে কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স, উন্নয়ন এসব ইতিবাচক শব্দের আবরণে ঢাকা পড়ে থাকে বাস্তবতার নির্মম চিত্র। কিন্তু এবার এই ‘স্বপ্নের প্রচারণা’ এক ভয়াবহ প্রতারণার মুখোশ উন্মোচন করেছে, যার মূলনায়ক হলেন ড.  মুহাম্মদ ইউনুস।

সম্প্রতি টোকিও সফরের সময় যে চুক্তিটি আলোচনায় এসেছে, সেটি হয়েছে তাহমিদ মইন নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। অথচ এই তাহমিদ মইন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (JBCCI) থেকে প্রতারণার অভিযোগে বহিষ্কৃত। তার বিরুদ্ধে জাপানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। জাপানের সরকারি বাণিজ্য সংস্থা JETRO এই বিষয়ে বাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তাহমিদ মইনের এই অতীত জেনেও যে ব্যক্তি তার সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন ড. ইউনুস নিজেই। চমকপ্রদ বিষয় হলো, তিনি এখন নিজস্ব লাইসেন্সে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি খুলেছেন, যা এখন তার নতুন ‘সংস্কার’ মডেল! অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় সফরের পয়সায় গিয়ে নিজস্ব ব্যবসার সুবিধার্থে এক বহিষ্কৃত প্রতারকের সঙ্গে চুক্তি করে আদম ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিচ্ছেন তিনি।

JBCCI-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সাবেক কর্মকর্তা সাঈদ আরমান বলেন, “তাহমিদ একজন প্রতারক। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে JBCCI থেকে বহিষ্কার করেছিলাম।”

এদিকে জাপানি দূতাবাসের উদ্বেগ ও আপত্তি স্পষ্ট। তারা মনে করছে, এ ধরনের প্রতারণামূলক চুক্তি জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

প্রশ্ন উঠেছে একজন নোবেল বিজয়ী কীভাবে এমন এক প্রতারক চক্রের অংশীদার হয়ে উঠলেন? কেন রাষ্ট্রীয় সফরকে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক এজেন্ডার হাতিয়ার বানানো হলো?

আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটেছে। রাষ্ট্রের অর্থে বিদেশ সফর, রাষ্ট্রের মর্যাদা নিয়ে খেলাচলা, প্রতারকের সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি সব মিলে এটি যেন একটি ‘রাষ্ট্রীয় বৈধতা পেয়েছে এমন বেনিয়াপনা’।

ড. ইউনুস কি আজ একজন নোবেল বিজয়ী থেকে রাষ্ট্রীয় সফরের সুযোগে আন্তর্জাতিক আদম ব্যবসার উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন?

এই প্রশ্ন শুধু একজন ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রের নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ ও স্বচ্ছতা নিয়েও উঠতে বাধ্য। জনগণের করের টাকা, সরকারের সুনাম ও দেশের ভাবমূর্তি সব মিলিয়ে এই নাটকীয় ও বিতর্কিত চুক্তির পেছনে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চক্রান্ত আছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহি এখন সময়ের দাবি।

Share This Article
Follow:
WE Are love for news
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version