যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহৎ পরিসরে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫-এ ১,৩৫৩ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১,১০৭ জন সিভিল সার্ভিস এবং ২৪৬ জন ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তা রয়েছেন। এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ঘোষিত (২২ এপ্রিল, ২০২৫) পররাষ্ট্র দপ্তরের পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ। খবর বাপসনিউজ
পুনর্গঠনের লক্ষ্য হলো কূটনৈতিক অগ্রাধিকার ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করা। এর অংশ হিসেবে শতাধিক ইউনিট ও ব্যুরো বিলুপ্ত বা একীভূত করা হচ্ছে। ফলে প্রায় ৩,০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী মন্ত্রণালয় ত্যাগ করছেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় অবসর নিচ্ছেন। ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তারা ১২০ দিন এবং সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তারা ৬০ দিনের প্রশাসনিক ছুটির পর চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত হবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কাঠামোতে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় পরিবর্তন। এর মাধ্যমে বিদেশ নীতির গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলছে। তবে, বর্তমান ও প্রাক্তন কূটনীতিকরা এই ছাঁটাইয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা সংঘাত এবং ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মতো বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রভাব ও শক্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।
এই ছাঁটাই এবং পুনর্গঠন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা ও উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে।