বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার: হ্যানয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান এই চুক্তিকে একটি কূটনৈতিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক সংলাপ ও আলোচনার পথ সুগম করবে।

IBN-News-Logo-Blue
By
IBN News
WE Are love for news

আইবিএন রিপোর্ট: ৬ আগস্ট ২০২৫, বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এই ঐতিহাসিক সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে নিয়মিত কূটনৈতিক সংলাপ (Foreign Office Consultations–FOC) প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে। স্মারকটি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব লুৎফর রহমান এবং লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান এই চুক্তিকে একটি কূটনৈতিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক সংলাপ ও আলোচনার পথ সুগম করবে। এটি বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বিনিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।” তিনি আরও বলেন, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে একটি টেকসই ও গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

রাষ্ট্রদূত রহমান বাংলাদেশের ‘এশিয়ান-এক্সট্রা ডায়লগ পার্টনারশিপ’ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে না, বরং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামেও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।”

লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে এই চুক্তি সফলভাবে স্বাক্ষরে বাংলাদেশ দূতাবাসের সক্রিয় প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের সংলাপ প্রতিষ্ঠিত হলো, যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করবে।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও লাওস ১৯৮৮ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের মধ্যে গঠনমূলক কূটনৈতিক সংলাপ ও সহযোগিতার প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তি। বর্তমানে ভিয়েতনামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস লাওসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে।

এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

Share This Article
Follow:
WE Are love for news
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version