নিউইয়র্ক, ২ জুলাই ২০২৫: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ ও বেআইনি কারাদণ্ডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, আওয়ামী পরিবার, সহযোগী অঙ্গসংগঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে গত বুধবার (২ জুলাই ২০২৫) নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় সন্ধ্যা ৮টায় একটি তীব্র প্রতিবাদ সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।এই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা প্রদীপ রক্ষিত কর। সঞ্চালনা ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আবু বকর, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, অন্যতম উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বখতিয়ার আলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গীর, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, শেখ হাসিনা মঞ্চের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জলিল, দেলওয়ার হোসেন মোল্লা, শারমিন তালুকদার, মি. তালুকদার, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কিবরিয়া জামান, সাবেক সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান সরকার, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী, সোহেল চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসেন চাক্ষল, ছাত্রলীগ নেতা রিদয়সহ প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী।বক্তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ডের ঘটনাকে তীব্রভাবে নিন্দা করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ও ন্যায়বিচারের সকল রীতিনীতি লঙ্ঘন করে একতরফাভাবে এক মাসেরও কম সময়ে এই অবৈধ রায় দিয়েছে। তারা এই ঘটনাকে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে একটি জঘন্য ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়ে এবং তার নিযুক্ত আইনজীবীর বক্তব্য না শুনে একতরফাভাবে এই রায় দিয়েছে।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় অপরাধ শতভাগ প্রমাণিত না হলে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগে কোনো যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ নেই, এবং তিনি ট্রাইব্যুনাল আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেননি।
বক্তারা এই রায়কে ‘বিচারিক সন্ত্রাস’ ও ‘প্রহসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এটি বাংলাদেশে চলমান মব সন্ত্রাসের অংশ। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ দেশের জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি এই অবৈধ রায় এবং বিচার ব্যবস্থার ধ্বংসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তারা বিশ্বাস প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের জনগণ এই ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ রুখে দাঁড়াবে এবং দেশ ধ্বংসকারী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।