আইবিএন রিপোর্ট: ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার গর্ব, একাধারে সফল শিল্প উদ্যোক্তা ও দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ আব্দুস সালাম ভূঁইয়া জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে নতুন প্রত্যাশার আলো জ্বালিয়েছেন। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের প্রতি তার নিরলস অবদান এবং অবিচল আনুগত্য তাঁকে এই সম্ভাব্য নেতৃত্বের আলোচনায় নিয়ে এসেছে।
আব্দুস সালাম ভূঁইয়ার রাজনীতির পথচলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে বিএনপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে। ১৯৯২ সালে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে ছাত্রদলের কলেজ সংসদ (ওয়ালি-ফরহাদ) কমিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। পরবর্তীতে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছাত্রদলের রাজনীতিতে গভীরভাবে সম্পৃক্ত থাকেন।
১৯৯৬ সালে মৎস্যজীবী দলের বর্তমান প্রস্তাবিত সভাপতি নাদিম চৌধুরীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একযোগে তাঁরা দলের নানা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে থাকেন।
২০০৭ সাল থেকে সাবেক ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ জাতীয় নেতাদের সান্নিধ্যে থেকে হামলা-মামলা উপেক্ষা করে সহযোদ্ধা হিসেবে দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কোনো পদ বা মর্যাদার লোভ না করেই তিনি দলের প্রতি নিঃস্বার্থ আনুগত্য প্রদর্শন করেছেন।
২০১৩ সাল থেকে সাবেক আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহাতাবের সাথে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলকে সুসংগঠিত করতে তার অবদান ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত তার গ্রহণযোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা আজ দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাকে নতুন নেতৃত্বের প্রার্থী হিসেবে বিবেচনার আলোচনায় এনেছে।
রাজনীতির পাশাপাশি আব্দুস সালাম ভূঁইয়া নিজেকে গড়ে তোলেন একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে। অল্প সময়ে নিজস্ব শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করে তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। চায়না, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সহ বহু দেশে ব্যবসায়িক যোগাযোগ গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশবিদেশে বিভিন্ন ভ্রমণ তার অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করেছে।
আব্দুস সালাম ভূঁইয়া মদন থানার অন্তর্গত কদমশ্রী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, যার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভোটারগণ তার নিয়ে অনেক স্বপ্ন বোনা শুরু করেছেন।
দলের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি একজন প্রকৃত “জিয়ার সৈনিক”— সততা, সাহসিকতা ও নিঃস্বার্থ দলীয় আনুগত্যে দৃষ্টান্ত। নেত্রকোনা জেলা তথা এলাকাবাসীর দৃষ্টিতে সততা, নিষ্ঠা ও জাতীয়তাবাদীর আদর্শের বিবেচনায় ব্যতিক্রম এক ব্যক্তিত্ব। এলাকাবাসীর বিশ্বাস, তিনি তারেক রহমানের প্রত্যাশিত নতুন বাংলাদেশ গড়তে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবেন।
দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জোরালোভাবে একটি দাবি উঠেছে— এমন একজন পরীক্ষিত, জনপ্রিয় ও দূরদর্শী ব্যক্তিত্বকে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আনা হোক। এতে করে দল আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়ে আগামী দিনের রাজনৈতিক সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।