যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রেশন পলিসি আরো কঠোর হচ্ছে, বিয়ে ও ফ্যামিলি স্পন্সরশিপেও ঝুঁকিপূর্ণ

ইউএস সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস বা ইউএসসিআইএস এর বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানাচ্ছে তারা এ বিষয়ে গত সোমবার নতুন গাইডলাইন দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে এ ধরনের আবেদনকারীকে ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা হবে।

IBN-News-Logo-Blue
By
IBN News
WE Are love for news
ছবি: সংগৃহীত।

আইবিএন রিপোর্ট: আমেরিকার সিটিজেনকে বিয়ে করে যারা গ্রিনকার্ড পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাদের জন্য খারাপ খবর দিলো এনবিসি নিউজ। ইউএস সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস বা ইউএসসিআইএস এর বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানাচ্ছে তারা এ বিষয়ে গত সোমবার নতুন গাইডলাইন দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে এ ধরনের আবেদনকারীকে ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও যারা পরিবারের অন্য সিটিজেন সদস্যের স্পন্সরশিপে গ্রিনকার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তাদেরও ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়ায় আনা হবে। এনবিসি নিউজ বলছে, এই নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। ইউএসসিআইএস এনবিসি নিউজকে জানিয়েছে, যেসব আবেদন পেনডিং আছে এবং যারা ১ আগস্টে বা তারপরে আবেদন করেছেন তাদের জন্যও আদেশ কার্যকর হবে।

কলাম্বিয়া ল স্কুলের ইমিগ্রান্টস রাইটস ক্লিনিকের ডিরেক্টর ইলোরা মুখার্জি এনবিসি নিউজকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে স্ট্যাটাস এডজাস্টমেন্টের সবচেয়ে বৈধ ও বড় সুযোগ ছিল বিয়ে অথবা ফ্যামিলি স্পন্সরশিপের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, এই নতুন নিয়মটি আরও বৃহৎ ক্ষেত্রে ইমিগ্রান্টদের ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার পথ তৈরি করল। অর্থাৎ যারাই গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করবে তাদের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

এনবিসি নিউজ জানতে পেরেছে ২০২৫ সালের প্রথম ৬ মাসে স্বামী বা স্ত্রী বা ফ্যামিলি স্পন্সরশিপের মাধ্যমে I-130 পিটিশন জমা দিয়েছে প্রায় ৫২০,০০০ আবেদনকারী। তবে জুন পর্যন্ত প্রায় ২৪ লক্ষ (২.৪ মিলিয়ন) I-130 পিটিশন পেন্ডিং রয়েছে।

ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, এই নতুন নিয়ম চালুর উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেকটি আবেদন স্পষ্টভাবে পরীক্ষা করা এবং কোনো ভুল তথ্য বা বিচ্যুতি আছে কিনা দেখা। ইমিগ্রেশন বিষয়ক ফ্রড বা জালিয়াতি রোধে এই কঠোর নিয়ম প্রয়োগ করা হবে। প্রয়োজন হলে ইমিগ্রেশন বিভাগ আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিশেষ ইন্টারভিউএর জন্যও অনুরোধ করবে আবেদনকারী ও স্পন্সরকারীদের। তবে তারা একথাও বলেছে, বিয়ে এবং ফ্যামিলি রিলেশনশিপ যদি পরীক্ষা—নিরিক্ষার মাধ্যমে জেনুইন মনে হয়, সকল বিষয়ে আবেদনকারীরা কমপ্লায়ান্ট, তাহলে তা অনুমোদন করা হবে।

তবে মাইগ্রেশন পলিসি ইন্সটিটিউটের এসোসিয়েট ডিরেক্টর জুলিয়া গেল্যাট বলেন, এই পলিসি চেঞ্জ প্রকৃতপক্ষে বর্তমান প্রশাসনের গণ ডিপোর্টেশন এজেন্ডারই অংশ।

Share This Article
Follow:
WE Are love for news
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version