যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণের মাধ্যমে সন্তানের জন্য নাগরিকত্ব লাভের সুযোগকে কাজে লাগাতে প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য দম্পতি এখানে সন্তান জন্ম দিতে আসছেন। তবে, বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিধান বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত নীতি অনুযায়ী, বাবা-মা দুজনের মধ্যে অন্তত একজনের যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ স্ট্যাটাস (সিটিজেন বা গ্রিনকার্ডধারী) না থাকলে তাদের সন্তান জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাবে না। এই উদ্যোগ বর্তমানে আদালতে আটকে থাকলেও, অনেক বাংলাদেশি দম্পতি এখনো সন্তানের নাগরিকত্বের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন। বাপসনিউজ
সূত্র জানায়, আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে নাগরিকত্বের সম্ভাবনা থাকায় অনেকে এই সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছেন। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে, অ-নাগরিকদের এই প্রক্রিয়া আমেরিকান নাগরিকদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপাচ্ছে। একজন আমেরিকান নাগরিক এই বিষয়ে বলেন, “বিদেশ থেকে এসে সন্তান জন্ম দিয়ে নাগরিকত্ব নেওয়া অনৈতিক। এতে আমাদের দেশের নাগরিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, অনেকে হাসপাতালের চিকিৎসা বিল পরিশোধ না করে সন্তানের সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড ও পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে যান। এই বিল বকেয়া থেকে যায়, কারণ তাদের দেওয়া ঠিকানায় কাউকে পাওয়া যায় না, এবং ডেট কালেক্টররাও অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হন।
একজন অ্যাটর্নি জানান, “যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান জন্ম নিলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। জন্মের পর সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর, পাসপোর্ট এবং জন্মসনদে নাগরিকত্বের উল্লেখ নির্ভর করবে আইনি প্রক্রিয়ার ওপর, যা এখনো চলমান।”
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের একাংশ এই প্রবণতাকে অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য মনে করলেও, বাংলাদেশি দম্পতিদের মধ্যে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার আশায় এই প্রক্রিয়ার প্রতি আগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।