দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যা ও তুষার ঝড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত, অর্ধশত মানুষের মৃত্যু

ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীও রয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন।

IBN-News-Logo-Blue
By
IBN News
WE Are love for news
বন্যায় বিস্তির্ণ অঞ্চল তলিয়ে গেছে, ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। ছবি: এক্স থেকে সংগৃহীত 

দক্ষিণ আফ্রিকায় শক্তিশালী শীতকালীন ঝড় আঘাত হেনেছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি প্রদেশে ঠান্ডা, তুষারপাত এবং বন্যা দেখা দিয়েছে।

ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীও রয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন। খবর বিবিসি ও রয়টার্স।

১১ জুন, বুধবার সকালে ইস্টার্ন কেপের প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী বন্যাকবলিত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন এবং মাথাতা শহরের কাছে ডেকোলিগনি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এখানকার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শত শত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে রাত কাটাচ্ছেন। ইস্টার্ন কেপের ৫৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে ওআর টাম্বো, আমাথোলি ও আলফ্রেড নজো জেলায়।’

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: https://youtube.com/shorts/D28Csgmayk8?feature=share

এদিকে গত মঙ্গলবার সকালে মথাতা শহরে সেতু পার হওয়ার সময় স্কুলশিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস পানির তোড়ে ভেসে যায়। বাসটিতে মোট ১৩ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে ১১ জনই স্কুলশিক্ষার্থী। বাসে থাকাদের মধ্যে ৪ শিশু, চালক ও কন্ডাক্টরসহ ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিন শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ৪ শিশুর সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।

ইস্টার্ন কেপের পাশ্ববর্তী প্রদেশ কোয়াজুলু-নাটালও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ৬৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনো কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫ লাখ বাড়ি বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে।

বন্যার পাশাপাশি তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশ।

বৃষ্টি ও বন্যার পাশাপাশি তুষারঝড়ের বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। ভারী তুষারপাতের কারণে সড়কে যানবাহন আটকে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কিছু সড়কে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষার জমে গেছে।

Share This Article
Follow:
WE Are love for news
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version