গত ৪ জুলাই ২০২৫, আমেরিকার মহান স্বাধীনতা দিবসে যখন সারা দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল, তখন প্রকৃতির নির্মম ছোবলে টেক্সাসের কার কাউন্টিতে ভয়াবহ বন্যায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই ট্র্যাজেডিতে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ইউএসএ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে। খবর বাপসনিউজ
সংগঠনের সভাপতি শাহ শহিদুল হক সাঈদ বলেন, “এই ভয়াবহ দুর্যোগে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। গ্রীষ্মের তীব্র তাপ ও উষ্ণ আবহাওয়ার মধ্যে হঠাৎ সৃষ্ট এই বন্যা শতাধিক জীবন কেড়ে নিয়েছে, শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে, গবাদি পশু ও খাদ্যশস্য বিনষ্ট হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি, যাতে বেঁচে থাকা মানুষ ও প্রাণীসম্পদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়।”
বন্যার তাণ্ডবে কার কাউন্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গুয়াডালুপে নদীর তীরবর্তী ক্যাম্প মিস্টিক, একটি খ্রিস্টান গ্রীষ্মকালীন শিবির, এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে ২৭ জন শিশু ও কাউন্সেলর নিহত এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২০-এর বেশি, এবং ১৬০-এরও বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, যার মধ্যে কার কাউন্টিতে ১৬১ জন। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এই অঞ্চল পরিদর্শন করে উদ্ধার ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার (এনডব্লিউএস) পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এনডব্লিউএস-এর জনবল ও বাজেট হ্রাসের কারণে।
অন্য এক প্রসঙ্গে, শাহ শহিদুল হক সাঈদ ট্রাম্প প্রশাসনের মেডিকেয়ার, চাইল্ড কেয়ার এবং অ্যাডাল্ট কেয়ারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা থেকে দরিদ্র ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করার নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “তথাকথিত ‘বিউটিফুল বিল’ আসলে ‘মিনিংলেস বিল’। এই বিল দরিদ্র ও বয়স্কদের জন্য মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে উঠতে পারে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।”
ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ইউএসএ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে এবং পুনর্বাসন ও সহায়তার জন্য সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।