চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় রেশন কার্ডের নামে শত কোটি টাকা প্রতারণা: ইকবাল হাসান ও সহযোগীরা অধরা

ইকবাল হাসান ও তার দল স্বল্পমূল্যে চাল, তেলসহ রেশন সামগ্রী ও মাসিক লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পতেঙ্গা ও ইপিজেডের শ্রমজীবী ও দরিদ্র পরিবারগুলোকে টার্গেট করে প্রতি রেশন কার্ডের জন্য ২৫,০০০ টাকা হারে অর্থ সংগ্রহ করে।

IBN-News-Logo-Blue
By
IBN News
WE Are love for news
ছবি: ডান থেকে প্রতারক চক্রের প্রধান ইকবাল হাসান এবং তার সহযোগী গুলতাজ বেগম ও নুরুল আবছার।

মুহাম্মাদ জুবায়ের: চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় রেশন কার্ডের নামে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৫,০০০ শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের পরিবারের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এই চক্রের প্রধান ইকবাল হাসান এবং তার সহযোগী গুলতাজ বেগম ও নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সুকৌশলে সহজ-সরল মানুষদের লোভ দেখিয়ে এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

ইকবাল হাসান ও তার দল স্বল্পমূল্যে চাল, তেলসহ রেশন সামগ্রী ও মাসিক লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পতেঙ্গা ও ইপিজেডের শ্রমজীবী ও দরিদ্র পরিবারগুলোকে টার্গেট করে প্রতি রেশন কার্ডের জন্য ২৫,০০০ টাকা হারে অর্থ সংগ্রহ করে। অনেকে ঋণ করে, এমনকি শিশুদের নামেও টাকা বিনিয়োগ করেছে। প্রতারকরা আস্থা অর্জনের জন্য প্রথমে কিছু রেশন সরবরাহ করলেও, পরে নানা অজুহাতে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ইকবাল হাসান অধরা থাকলেও গুলতাজ বেগম ও নুরুল আবছার প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

প্রতারণার শিকার পরিবারগুলো আর্থিক সংকটে পড়েছে। অনেকে ঋণের বোঝায় জর্জরিত। গুলতাজ বেগমের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে কেউ কেউ হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। ইকবাল হাসান স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প ও চেক দিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করলেও, চেকগুলোতে গ্রহীতার নাম ও তারিখ না থাকায় আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

ইকবাল হাসান লোকচক্ষুর আড়ালে থাকলেও গুলতাজ বেগম আনোয়ারা থানা এলাকায় নতুন বসতি গড়েছেন। নুরুল আবছার পতেঙ্গায় থেকে দোষ ইকবালের ওপর চাপাচ্ছেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলার কথা জানিয়েছেন। গুলতাজ বেগম ও তার স্বামী হারুন অভিযোগ অস্বীকার করে হুমকি দিচ্ছেন। ইকবালের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

ধারাবাহিক পর্ব -১

Share This Article
Follow:
WE Are love for news
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version